একেই বলে আপনার পায়ের আকৃতি আপনার ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে!




 পা দুটো


আপনার পা দেখতে কেমন?

আপনার দ্বিতীয় আঙুল কি আপনার বুড়ো আঙুলের চেয়ে বড়? আপনার কিছু পায়ের আঙ্গুল কি একে অপরকে অতিক্রম করে নাকি সব সোজা? আপনার শরীর আপনাকে আপনার ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে অনেক কিছু বলতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, আপনার নাকের আকৃতি, আপনার বুড়ো আঙুল সোজা বা আঁকাবাঁকা , এবং আপনি যখন বসে থাকবেন তখন আপনি যেভাবে আপনার পা রাখেন সবই খুব স্পষ্ট। এবং আপনি সেই তালিকায় আপনার পায়ের আকৃতি যোগ করতে পারেন! গুড হাউসকিপিং অনুসারে আপনার পা আপনাকে কী ধরণের ব্যক্তি সে সম্পর্কে অনেক কিছু বলতে পারে।

এই আপনার জন্য সঠিক? আপনার মোজা খুলুন এবং একটি চেহারা আছে!

1. সাধারণ পা

এই তির্যক পা হল সবচেয়ে সাধারণ ধরনের পা। আপনার পা যদি এমন দেখায় তবে আপনি একজন খুব ভারসাম্যপূর্ণ ব্যক্তি। আপনি স্বতঃস্ফূর্ত এবং সামাজিক: আপনি নতুন লোকেদের সাথে দেখা করতে পছন্দ করেন এবং সর্বদা নতুন অভিজ্ঞতার জন্য উন্মুক্ত। আপনি ভ্রমণ করতে ভালবাসেন, কারণ আপনি বিভিন্ন সংস্কৃতির অন্বেষণ পছন্দ করেন।

2. শিখা পাদদেশ

এই পায়ের আকৃতির আকর্ষণীয় বিষয় হল দ্বিতীয় পায়ের আঙুলটি বুড়ো আঙুলের চেয়ে লম্বা। আপনার যদি এই ধরণের পা থাকে তবে আপনি খুব খেলাধুলাপ্রিয় ব্যক্তি। আপনিও সৃজনশীল: আপনি নতুন জিনিস ভাবতে ভালোবাসেন। আপনার উত্সাহের কারণে, আপনি লোকেদের জয় করতে খুব ভাল। আপনি মাঝে মাঝে আবেগপ্রবণও হতে পারেন।

3. বর্গফুট

এই ধরনের পায়ের সাথে, সমস্ত পায়ের আঙ্গুলের দৈর্ঘ্য প্রায় একই। আপনি একজন সত্যিকারের চিন্তাবিদ; আপনি একটি বাস্তব সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সাবধানে সমস্ত ভাল এবং অসুবিধা উপর যেতে চান. আপনি একজন ব্যবহারিক ব্যক্তি এবং আপনি খুব বিশ্বস্ত এবং নির্ভরযোগ্য।

4. প্রসারিত পা

এই পা তুলনামূলকভাবে লম্বা এবং পায়ের আঙ্গুলগুলি একে অপরকে কিছুটা অতিক্রম করে। আপনার যদি এই ধরণের পা থাকে তবে আপনি একজন অন্তর্মুখী ব্যক্তি। আপনি নিজের কাছে জিনিস রাখতে পছন্দ করেন এবং আপনার গোপন গভীরতা রয়েছে। আপনি আবেগপ্রবণ হতে পারেন এবং আপনার মেজাজ সত্যিই দ্রুত দুলতে পারে।




সারা আলী খান মানেই সুপারহিট




 

বলিউড তারকা সারা আলী খান ও কার্তিক আরিয়ান অভিনীত 'লাভ আজ কাল' ছবির রিমেকের ট্রেইলার প্রকাশ করা হয়েছে। ট্রেইলার প্রকাশ অনুষ্ঠানে সারার সঙ্গে রসায়ন নিয়ে মুখ খুলেছেন কার্তিক।
বাবা অভিনেতা সাইফ আলী খানের সঙ্গে একটি টিভি অনুষ্ঠানে সারা জানিয়েছিলেন, 'তিনি কার্তিকের ওপর ক্রাশ।' এবার কার্তিক জানিয়েছেন, সেই অনুষ্ঠান দেখার পর কার্তিক নিজেই সারার ওপর ক্রাশ খেয়েছেন। এখন সারা 'হ্যাঁ', 'না' যাই বলুক, সারা তার হয়ে গেছে।
সেই টিভি অনুষ্ঠানের পর কার্তিকের সঙ্গে সারার পরিচয় করিয়ে দেন বলিউড তারকা রণবীর সিং। তারপর তাদের দুজনকে বিভিন্ন কফিশপে, রেস্তোরাঁয়, ফ্যাশন শোসহ নানা অনুষ্ঠানে একসাথেই দেখা গেছে। কিন্তু প্রতিবারই সারার সঙ্গে ক্যামেরাবন্দী হতে লজ্জা পেয়েছেন কার্তিক। সারার সঙ্গে থাকলে তার লজ্জা পাওয়ার কারণ জানতে চাইলে কার্তিক বলেন, সারা বলেন জাতীয় টেলিভিশন চ্যানেলে সারা যখন বলেছিল সে আমার ওপর ক্রাশ তখন আমি তার ওপর ক্রাশ খেয়েছি। সারা যা বলার সরাসরি টিভিতে বলে দিয়েছে।






ভিজিটিং কার্ডে জন্মাবে গাছ!






আপনার বা আমার ভিজিটিং কার্ড, বিভিন্ন অনুষ্ঠানের নিমন্ত্রণপত্র অথবা লিফলেট। এগুলো ব্যবহার বা কাজ শেষে সাধারণত ফেলে দেই। আর তা হয়ে যায় বর্জ্য কাগজ। কিন্তু সেই বর্জ্য কাগজ থেকে যদি জন্মায় গাছ? তাহলে কেমন হয়। বিষয়টি অকল্পনীয় বা অসম্ভাব্য বলেই মনে হবে। কিন্তু  বাস্তবে ফেলে দেওয়া এসব কার্ড থেকে গাছ জন্মানোর অভাবনীয় প্রকল্প উদ্ভাবন করেন নারায়ণগঞ্জের ছেলে প্রকৌশলী মাহবুব সুমন। যা নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাস-ই হবে না। আপনার আমার কাগজে তৈরি ভিজিটিং কার্ড বা যে কোনো ধরনের নিমন্ত্রণপত্র মাটিতে ফেললেই ১ বা দুটি নয় বিভিন্ন জাতের ১১টি সবজি ও ফুলের গাছ জন্মাবে। শুধু তাই নয় পরিবেশ সুমনের ঘরে রয়েছে বাঁশের তৈরি জগ, জৈব সার তৈরির নানা পরিবেশবান্ধব সামগ্রী। পরিবেশ রক্ষার কথা মাথায় রেখে দীর্ঘদিনের গবেষণা ও পরীক্ষা শেষে এ আবিষ্কার বাস্তবে রূপ দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘শালবৃক্ষ’ নামে একটি ফেসবুক পেজ রয়েছে এ বন কাগজের। ইতিমধ্যে সুদূর আামেরিকা থেকে নাগরিক বন কাগজের একটি অর্ডারও নিয়েছেন। সরকারি উদ্যোগ বা সহযোগিতা পেলে এ বন কাগজ হয়ে উঠতে পারে পরিবেশ রক্ষার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
 
প্রকৌশলী সুমনের শুরুর জীবন নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা আবুল খায়েরের তিন ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে তিনি মেজো ছেলে। পড়াশোনা করেছেন ঢাকার প্রাইভেট ইউনাইটেড ইউনিভার্সিটিতে। সেখান থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছেন। বর্তমানে তিনি প্রকৌশলী ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিবিষয়ক গবেষক ও অ্যাক্টিভিস্ট।  এর আগে সৌরবিদ্যুৎ, বায়োবিদ্যুৎ, বায়োপ্লাস্টিক ও সরকারি বিভিন্ন প্রজেক্টে ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেছেন।
 
কীভাবে এ চিন্তা ও শালবৃক্ষ টিম
কাগজের জন্ম গাছ থেকে। সে ক্ষেত্রে চিন্তা করি। সেই কাগজকে কীভাবে পুনরায় গাছে ফিরিয়ে দেওয়া যায়। এ ছাড়া আমরা যে কাগজ ব্যবহার করি। লেখালেখি শেষে কাগজের প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে একপর্যায়ে তা ফেলে দেই; যা বর্জ্যে পরিণত হয়। সে ক্ষেত্রে গবেষণা শুরু করি এ বর্জ্য কাগজকে কীভাবে পরিবেশ রক্ষার সম্পদে পরিণত করা যায়। সুমন বলেন, ‘বন কাগজ তৈরির কাজটি অনেক কঠিন। আমার একার পক্ষে  কাজটি শেষ করা সম্ভব হতো না। পুরো কাজটিতে সহায়তা করেছেন ইকরামুন্নেসা চম্পা। চম্পা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রী। 
 
বন কাগজ প্রকল্প
সুমন বলেন, ‘এ কাগজটি মাটিতে ফেলে দিলে সেখান থেকে জন্মাবে ১১ রকমের ফসল!  প্রায় এক বছরের প্রচেষ্টার পর জনসমক্ষে বন কাগজ সামনে এনেছেন তারা। এ বন কাগজ তেরির আইডিয়া, গবেষণা, পরীক্ষাসহ কাজটি সফলভাবে শেষ করে আনতে এক বছর সময় লেগেছে।
 
যেভাবে জন্মাবে গাছ
বন কাগজে ৮ রকমের সবজি, ফল আর তিন রকমের ফুলের বীজ আছে। রোপণের বিশেষ কোনো নিয়ম নেই। মাটির ওপর কাগজটা আস্ত অথবা ছিঁড়ে কুটি কুটি করে ফেলে দিলেই হলো। সেই মাটিতে যদি পর্যাপ্ত আর্দ্রতা থাকে তাহলে ৮-৯ দিনের মধ্যে গাছ দেখা যাবে। আর মাটি আর্দ্র না হলে কাগজটাকে মাটির ওপর রেখে একটু ভিজিয়ে দিলেই হলো। জমিতে যেমন সবজির বীজ ছিটিয়ে দেওয়া হয় তেমনই। ওপরে থেকেই আলো, বাতাস আর পানির সাহায্যে এটাতে অঙ্কুরোদ্গম হয় এবং পাখি খেয়ে না ফেললে সেটা থেকে গাছ বড় হতে থাকে। এ বন কাগজ থেকে জন্মাবে বিলাতি ধনিয়াপাতা, লালশাক ও  তিন জাতের শাক, পিয়াজ, মরিচ, দুই জাতের টমোটো ও ফুলের মধ্যে মোড়ক ফুল, কসমস, ডেইজি, ডিয়ানথুস ও হেলিক্রিসমাসসহ ১১ জাতের বৃক্ষ। একটি বন কাগজ এক বছর পর্যন্ত ভালো থাকে। অর্থাৎ একটি বন কাগজের ভিতরে থাকা বীজ এক বছর পর্যন্ত সতেজ থাকবে। এক বছরের ভিতর এটি মাটিতে  ফেললে ফসল হবে।



নিজেদের হস্তশিল্পে পড়ালেখার খরচ





সারদেশ্বরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। দিনাজপুরের এই স্কুলে দেখা যায় ব্যতিক্রমধর্মী এক উদ্যোগ। বছরের প্রথম দিন থেকে শিক্ষার্থীদের নিয়ে ২ টাকার ব্যাংক চালু করে স্কুলটি। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের নিজেদের পড়াশোনার খরচ জোগানোর জন্য স্বনির্ভর করে তোলার উদ্যোগ নিয়ে এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করে এই বিদ্যালয়।
 
ঐতিহ্যবাহী শতবর্ষী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি বছরের প্রথম দিন থেকে চালু করে ডিজিটাল ক্লাস রুম। শিক্ষার্থীদের হাতে তৈরি হস্তশিল্পগুলোর বিপণন কেন্দ্র চালু করা হয়। আর ব্যতিক্রমধর্মী ২ টাকার ব্যাংক থেকে সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের নতুন স্কুল ড্রেসসহ শিক্ষা উপকরণসমূহ বিতরণ এবং বই উৎসব বিদ্যালয়ে এনে দেয় নতুন মাত্রা। স্কুলে শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনের নানা কার্যক্রম পরিচালনায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধের পাশাপাশি শিক্ষায় ব্যাপক অবদান রাখছে। যা দেশের অন্য স্কুলগুলোর জন্য রোল মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে।  
শিক্ষার্থীদের পরিচালনায় ২ টাকার ব্যাংক কার্যক্রমে প্রত্যেক শিক্ষার্থী প্রতিমাসে ২ টাকা  করে জমা করে। চাইলে তারা তা তুলেও নিতে পারবে। পুরো কার্যক্রম ব্যাংকের আদলে করা। রয়েছে ক্লাস ভিত্তিক ব্যাংক শাখা, ম্যানেজার, অর্থসচিব এবং গভর্নর। কোনো শিক্ষার্থী যেন ঝরে না পড়ে সে জন্য ২ টাকার ব্যাংক থেকে দেওয়া হয় সহযোগিতা। পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা নিজেদের তৈরি হস্তশিল্প বিপণন করে নিজের পড়াশোনার খরচ বহন করছে নিজেরাই। তারা ২ টাকার ব্যাংক থেকে অর্থ সহায়তা গ্রহণ করে তৈরি করছে পাটের ব্যাগ, কলমদানি, পাপোশ, ওয়ালমেট, পুঁথিসহ নানান তৈজষপত্র। এসব হস্তশিল্প বিক্রির জন্য বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে খোলা হয় বিপণন কেন্দ্র। আর এসব পণ্য কিনছেন অভিভাবক ও পথচারীরা। শ্রেণি ভিত্তিক কার্যক্রম ও জীবনমুখী শিক্ষার বিষয়ে হাতে-কলমে জ্ঞান প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের স্বনির্ভর করে গড়ে তোলা হচ্ছে। ফলে অবসর সময়ে হস্তশিল্প তৈরিতে আর্থিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা করছে সারদেশ্বরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
 
বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী মন্দিরা রায় জানান, ‘আমরা ২ টাকার ব্যাংক থেকে যেমন সহযোগিতা পাচ্ছি, অন্যদিকে হস্তশিল্প তৈরি করে স্বনির্ভর হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে এর মাধ্যমে টাকা আয় করে পড়াশোনার খরচ চালাতে পারছি।’
 
২ টাকার ব্যাংক ও হস্তশিল্প বিপণন কেন্দ্র নিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোসাদ্দেক হোসেন জানান, ‘শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ দরিদ্র পরিবারের। ফলে প্রতিবছর বাল্যবিয়েসহ বিভিন্ন কারণে ঝরে পড়ে অনেক শিক্ষার্থী। এই ঝরে পড়া রোধে এই উদ্যোগ। এতে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়মুখী হচ্ছে। আবার অনেকে হস্তশিল্পের কাজ করে ভবিষ্যতে স্বনির্ভরতার হাতেখড়ির অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারছে।’
 
বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক রতন কুমার রায় জানান, বিদ্যালয়ের উদ্ভাবনী কার্যক্রম পরিচালনায় শিক্ষার্থী ঝরে পড়া হ্রাস পেয়েছে ৯০%। ২০১৮ সালে ঝরে পড়েছে ৫৩ জন শিক্ষার্থী। ২০১৯ সালে এ উদ্ভাবনী কার্যক্রমের ফলে ঝরে পড়া শিক্ষার্থী কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ১৫ জন। এ কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে বিদ্যালয় সফলতার স্বাক্ষর রাখছে। শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফলাফলও আগের চেয়ে ভালো।’



মেসির গোলে শীর্ষে বার্সা-পাস মার্ক পেয়েই গেলেন সেতিয়েন





নতুন কোচ কিকে সেতিয়েনের অধীনে প্রথম ম্যাচটা খেলে ফেললো বার্সেলোনা। লিওনেল মেসির একমাত্র গোলে গ্রানাদার বিপক্ষে জয়টা খুব বড় হলো না। তবে যে পরীক্ষায় নিজেকে অবতীর্ণ করলেন কোচ সেতিয়েন, তাতে তিনি যে পাশ মার্কটা পেয়ে গেলেন এ কথা মানতেই হবে। দীর্ঘদিন পর নু ক্যাম্পে ফিরলো টিকিটাকা। বলের দখল, প্রেসিংয়েও বার্সেলোনা ছিলো অনন্য।
রবিবার রাতে ঘরের মাঠে নতুন কোচের অধীনে শুরুটা দারুণ করে বার্সেলোনা। ছোট ছোট পাসে আক্রমণ গড়ে তোলা। প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের বোকা বানিয়ে বল কেড়ে নেওয়া। পারস্পরিক বোঝা পড়া সব কিছুতেই যেন অন্য এক বার্সেলোনা। কিন্তু গোলটা অধরায় থাকে মেসিদের।
দ্বিতীয়ার্ধে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে বার্সেলোনা একমাত্র জয়সূচক গোলের দেখা পায় ৭৬ মিনিটে। অপেক্ষার ফল সুমিষ্ট হয়, এই গোলটাও ছিলো তেমনি। বদলি হিসেবে নামা সম্ভাবনাময় তরুণ রিকি পুইগ চিলের মতো ছুটে এসে প্রতিপক্ষের পা থেকে বল কেড়ে নিয়ে বাড়ান মেসির দিকে। মেসি শরীরটা বাঁকিয়ে বল বাড়ায় গ্রিজম্যানের কাছে। গ্রিজম্যান ও আর্তুর ভিদাল দুজনেই পেছন দিকে বলটি পাস করেন। ততক্ষণে মেসি দৌড়ে পৌঁছে যান বলের কাছে। ডি-বক্সের মধ্যে গোলরক্ষক ও রক্ষণভাগের খেলোয়াড়দের মাঝে সামান্য একটু ফাঁক গলিয়ে বল জালে জড়ান এই আর্জেন্টাইন। ৮৩% বলের দখল ধরে রাখতে সক্ষম হন সেতিয়েনের শিষ্যরা।
এই জয়ের ফলে আবারো লা লিগা পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান ফিরে পেয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। সমান সংখ্যক ২০ ম্যাচ থেকে সমান ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে টেবিলের দ্বিতীয়স্থানে রিয়াল মাদ্রিদ। তৃতীয়স্থানে থাকা অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের পয়েন্ট ৩৫।



মুশফিকের অভাব ভোগাবে দলকে





নিরাপত্তার ভয়, পরিবারের সম্মতি না পেয়ে পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন না মুশফিকুর রহিম। শুধু তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ নয়, পাকিস্তানে কোনো ফরম্যাটই খেলতে যাবেন না বাংলাদেশের এই সাবেক অধিনায়ক। নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি হলে ২-৩ বছর পর পাকিস্তান সফরে যেতে পারেন তিনি। সাম্প্রতিক সময়ে দারুণ ফর্মে আছেন ডানহাতি এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। বঙ্গবন্ধু বিপিএলে দারুণ ব্যাটিং করেছেন তিনি। ফাইনালে তার দল খুলনা টাইগার্স হারলেও মুশফিক বিপিএলে ৪৯১ রান করে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় রান সংগ্রাহক ছিলেন।

পাকিস্তান সফরে তার অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনের মিডল অর্ডারে বড়ো শূন্যতা তৈরি করবে। তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজে মুশফিককে মিস করবে বাংলাদেশ। গতকাল বাংলাদেশের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো অবশ্য মুশফিকের সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। সাবেক এই অধিনায়ককে ‘ফ্যামিলি-ম্যান’ বলে অ্যাখ্যায়িত করেছেন বাংলাদেশের কোচ।
মুশফিককে এই সিরিজে না পাওয়া প্রসঙ্গে গতকাল মিরপুর স্টেডিয়ামে ডমিঙ্গো বলেছেন, ‘আমি মুশফিকের সঙ্গে কথা বলেছি। সে যাচ্ছে না, এটি সম্পূর্ণ তার নিজের সিদ্ধান্ত এবং আমি এই সিদ্ধান্তকে সম্পূর্ণ সম্মান করি। সে আমার মতোই একজন ফ্যামিলি-ম্যান। সে যদি তার পরিবারের জন্য মনে করে এটাই সঠিক তাহলে ঠিক আছে, আমি তার সিদ্ধান্তকে সম্মান করি।’
গতকালই শুরু হয়েছে বাংলাদেশ দলের পাকিস্তান সফরের প্রস্তুতি। মিরপুর স্টেডিয়ামে দুপুর ২টায় শুরু হয় স্কিল সেশন। তবে জ্বরের কারণে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মায়ের অসুস্থতার কারণে অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান গতকাল ক্যাম্পে যোগ দেননি। এছাড়া দলে ডাক পাওয়া ক্রিকেটারদের বাইরে তাইজুল ইসলাম ও পেসার খালেদ মাহমুদ নেটে বোলিং করেছেন। পাকিস্তান সফরের দলে রাখা হয়নি কোনো বাঁহাতি স্পিনার। কয়েকজন অফস্পিনার ও পাঁচ পেসার আছেন বাংলাদেশ দলে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৮৪টি টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন মুশফিক। তার অভিজ্ঞতা মিস করবে বাংলাদেশ। তবে এটিকে তরুণদের জন্য সুযোগ হিসেবেই দেখছেন ডমিঙ্গো।
গতকাল প্রোটিয়া এই কোচ বলেছেন, ‘সে একজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। বাংলাদেশের অন্যতম সেরা একজন ক্রিকেটার সে। তার অভিজ্ঞতা অবশ্যই আমরা মিস করব এই সিরিজে। বিপিএলে তার দারুণ সময় কেটেছে। ভারতেও সে ভালো করেছিল। কিন্তু এটা অন্য কারো জন্য সুযোগ পারফরম করে দেখানোর। একদিন মুশফিক খেলা বন্ধ করবে। আমাদেরকে খেলোয়াড় খুঁজে পেতে হবে, যে এগিয়ে আসবে এবং এই পর্যায়ে মুশফিকের মতো পারফরম করবে।’
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও বলেছেন, ইনফর্ম মুশফিককে অনেক মিস করবে বাংলাদেশ দল। গতকাল বোর্ড সভাপতি বলেছেন, ‘আমরা মুশফিককে অনেক মিস করব এখানে। সে আমাদের এই দলের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান, সবসময়ই ছিল, তবে এবার বিপিএল টি-২০তে সে আবার প্রমাণ করেছে যে, সে হচ্ছে সেরা। তাই সেদিক থেকে যদি চিন্তা করেন তাহলে আমরা ওকে অবশ্যই মিস করব।’
আজ ও আগামীকাল মিরপুরে চলবে বাংলাদেশ দলের অনুশীলন। ২২ জানুয়ারি রাতে পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে বিমানে চড়বে মাহমুদউল্লাহর দল।
টেস্ট
ম্যাচ ৬৯
ইনিংস ১২৯
রান ৪২১০
ওয়ানডে
ম্যাচ ২১৬
ইনিংস ২০২
রান ৬১০০
ওয়ানডে
ম্যাচ ৮৪
ইনিংস ৭৬
রান ১২৬৫



নির্বাচনের কারণে পেছাল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা




নির্বাচনের কারণে এবার পেছাল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা। ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সালের ৪র্থ বর্ষের বিশেষ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবার কথা ছিল। নির্বাচনের কারণে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পেছানোর পর পিছিয়ে দেয়া হয়েছে এই বিশেষ পরীক্ষাও।
সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও পরামর্শ দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, ১ ফেব্রুয়ারি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠিতব্য ২০১৮ সালের অনার্স চতুর্থ বর্ষ (বিশেষ) পরীক্ষা অনিবার্য কারণে স্থগিত করা হয়েছে। 
স্থগিতকৃত পরীক্ষাটি পর দিন অর্থ্যাৎ ২ ফেব্রুয়ারি বেলা ১টায় অনুষ্ঠিত হবে। এ পরীক্ষার পূর্বঘোষিত অন্যান্য তারিখ ও সময়সূচি অপরিবর্তিত থাকবে। পরীক্ষার বিস্তারিত সময়সূচি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে থেকে জানা যাবে বলে জানানো হয়েছে।